বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
নায়াব ইউসুফ বলেন, “এক বালক, যে আমাদের দলের কেউ না—আখ বা গেণ্ডারি দিয়ে গাড়িতে একটি হালকা আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীরা তাকে নিবৃত্ত করে আক্রান্ত গাড়িটি স্থান ত্যাগের সুযোগ করে দেয়।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তোলেন। তার ভাষায়, “দুদিন ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ ভয় দেখাচ্ছে ও হয়রানি করছে।”
গত রোববার বিকেলে ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুর বাজারে এ. কে. আজাদের গণসংযোগ কর্মসূচির সময় হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় কিছু যুবদলকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে নায়াব ইউসুফের দাবি—এটি বিএনপি বা যুবদলের পরিকল্পিত কোনো হামলা নয়, বরং একটি “বিচ্ছিন্ন ঘটনা”।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পরমানন্দপুরে হামলা এবং এর আগে এ. কে. আজাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনাও বিচ্ছিন্ন। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকব।”
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল হোসেন খান পলাশ, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, আলী আশরাফ নান্নু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ তাবরীজ উপস্থিত ছিলেন।
তবে নায়াব ইউসুফের বক্তব্যকে “মিথ্যাচার” বলে দাবি করেছেন এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, “সংবাদ সম্মেলনের নামে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছেন। কারণ, পরমানন্দপুরে হামলা পুলিশের সামনেই হয়েছে—এবং তা দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।”
এ. কে. আজাদ আরও বলেন, “আমি নামাজ শেষে একটি দোকানে বসে ছিলাম। ঠিক তখনই নায়াবের সমর্থকরা আমাকে ঘিরে ধরে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সোমবার সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের ১০ হাজার গ্রামে প্রাতরাশের দাওয়াতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধার কারণে যেতে পারিনি। আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, এমনকি আমার কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...