বিজ্ঞাপন
এএসপি (মধুখালী সার্কেল) মো. আজম খান জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে হামজা নামের ওই কিশোর নিখোঁজ ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর চর চান্দড়া এলাকায় তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হামজা আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের সায়েম উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। সে গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া নূরানি তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় পড়ত।
পুলিশ জানায়, নিহত কিশোরের সঙ্গে একই মাদ্রাসার ১৬ বছর বয়সী অপর কিশোরের মধ্যে নিয়মিত তর্কাতর্কি চলত। শনিবার বিকেলে স্থানীয়রা দেখেছিল, ওই কিশোর তার বাইসাইকেলে হামজাকে উঠতে দিচ্ছে। বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে কাঁদতে কাঁদতে হামজার গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত কিশোর হামজার কাছ থেকে প্রায়ই সে টাকা ধার নিত। সর্বশেষ ৫০ টাকা ধার নেওয়ার পর ৩০ টাকা ফেরত দেয়, বাকী ২০ টাকার জন্য তাকে তাগাদা দিচ্ছিল হামজা।
এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানার ওসির কক্ষে বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন এএসপি মো. আজম খান। পুলিশ হত্যার উদ্দেশ্য, সময় ও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতসহ সমস্ত তথ্য যাচাই করছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...