ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। সবশেষ পিএসএল-এ লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেললেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে পারেননি সাকিব। দলটি চ্যাম্পিয়ন হলেও তার অবদান খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। ফলে জাতীয় দলে তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
এই প্রসঙ্গেই সোমবার (২৬ মে) বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বোর্ডের সম্পর্ক এখনও খোলা আছে কিনা। উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “অবশ্যই নয় (চ্যাপ্টার ক্লোজ নয়)। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সিলেক্টরদের বিবেচনায় সাকিব সবসময়ই থাকে।"
তিনি আরও বলেন, “অ্যাকশন শোধরানোর পর সাকিব মাত্র দুটো ম্যাচ খেলেছে। আরও কিছু ম্যাচ খেললে তখন আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারবো সে কেমন ফর্মে আছে। তবে এটা বলতেই হয়, সে একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং যে কোনো দলের জন্য বিশাল সম্পদ।”
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বিসিবির মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, দরজা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাঁর ভবিষ্যত জাতীয় দলে অংশগ্রহণ নির্ভর করছে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তার ফর্ম ও ফিটনেসের ওপর।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষ দিকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় অনেক খেলোয়াড়ই ছিলেন অনিশ্চয়তায়। তবে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারের প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ সবসময়ই থাকে তুঙ্গে।
সামনের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোতে যদি সাকিব নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তবে আবারও বাংলাদেশ দলে তার জায়গা করে নেওয়া অসম্ভব নয়।
