Logo Logo

চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে আছে : তারেক রহমান


Splash Image

ফাইল ছবি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে আছে।” তাই দলীয় একক প্রার্থীর বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে বিএনপির প্রবাসী নেতা-কর্মীদের প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য গ্রহণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিএনপির ওয়েবসাইটে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে উদ্বোধন করেন তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সঞ্চালনা করেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি।

তারেক রহমান বলেন, “পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের নাম দলীয়ভাবে জানানো হবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তাকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে আছে। নিজেদের মধ্যে রেষারেষি বা বিবাদে এমন পর্যায়ে যাওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সেই সুযোগ নেয়।”

তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ জিতলে আপনি জিতেছেন—বিজয়ী হবে দেশ ও গণতন্ত্র। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া ও মাদার অব ডেমোক্রেসি খালেদা জিয়ার অবদান প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কোনো আচরণ যেন কেউ না করেন।”

তারেক রহমান জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে বিএনপি তিনশ সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী বা সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকা বিএনপির জন্য গৌরবের বিষয়। তবে বাস্তবতার কারণে সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। রাজপথে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শরিক দলগুলোর প্রার্থীদেরও বিএনপি সমর্থন দেবে।”

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “দেশ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে মেনে নিতে হবে। শহীদ জিয়ার সেই বাণী মনে রাখুন—‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।’”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিগত ১৫ বছরে পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ কায়েম করে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এখনো বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল চলছে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে নিত্য নতুন শর্ত আরোপ করে সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কৌশল ও অপকৌশলের পার্থক্য বুঝে এগোতে হবে—না হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে আত্মসমর্পণের ঝুঁকি তৈরি হবে।”

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “এবারই প্রথম প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল মনে হলেও এটি গণতন্ত্রের বড় পদক্ষেপ। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রবাসী ভোট প্রক্রিয়া আরও সহজ করবে।”

নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত আগস্ট মাসে সারাদেশে ৯৩ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ১৪টি ধর্ষণ ও ৮৯টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারীর নিরাপত্তাহীন সমাজ কখনো সভ্য সমাজ হতে পারে না। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব নারীদের নিরাপদ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা।”

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির এবং মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...