বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আগামী সপ্তাহে আমরা বিবিসির বিরুদ্ধে এক থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মামলা করব।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিবিসি একটি প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তৃতা এমনভাবে সম্পাদনা করেছিল, যা দেখলে মনে হয় যে তিনি সহিংসতার আহ্বান জানাচ্ছেন।
বিষয়টি সামনে আসার পর, সংস্থাটি ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছে যে, তাদের চেয়ারম্যান সামির শাহ হোয়াইট হাউসে একটি চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন— প্যানোরামা অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি ওই প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তব্য যেভাবে কাটা ও সাজানো হয়েছিল, সেটির জন্য তারা দুঃখিত। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, “এই প্রামাণ্যচিত্র আর কোনও প্ল্যাটফর্মে দেখানো হবে না।”
বিবিসির ভাষ্য অনুযায়ী, “ভিডিও ক্লিপটি যেভাবে সম্পাদিত হয়েছিল তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে আমাদের মনে হয়, মানহানির অভিযোগ তোলার মতো কোনও কারণ নেই।”
এই বিতর্কের শুরুতেই ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিবিসিকে সতর্ক করেছিলেন। তারা জানিয়েছিলেন, যদি সংস্থা বক্তব্য প্রত্যাহার না করে, ক্ষমা না চায় এবং ক্ষতিপূরণ না দেয়, তবে তারা এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করবে।
বিবিসির এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে, মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা প্রধান ডেবোরাহ টের্নেস পদত্যাগ করেছেন।
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের জন্য নতুন দিক উন্মোচন করেছে, যেখানে গণমাধ্যমের সম্পাদনা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংবেদনশীলতার বিষয়টি পুনরায় সামনে এসেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...