Logo Logo

পাইকগাছায় দুই ছাত্রের তিন বছরের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করলেন আয়া


Splash Image

খুলনার পাইকগাছা ভিলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় দুই ছাত্রের তিন বছরের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ম্যানেজিং কমিটির কাছে এ ঘটনা তদন্তের জন্য অভিযোগ জমা দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


অভিযোগে জানানো হয়েছে, বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি তালিকা তৈরির সময় কৌশলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী দীপ সরদারের অভিভাবক কুমারেশ সরদারের নগদ নাম্বারের পরিবর্তে আয়া মারুফা বেগম তার ভাই মনিরুল ইসলামের নগদ নাম্বার ব্যবহার করেন। একইভাবে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইব্রাহিম শেখের অভিভাবকের নাম্বার না দিয়ে আয়া মারুফা বেগমের সাবেক স্বামী পলাশ গাজীর নাম্বার ব্যবহার করা হয়। এরপর তারা উপবৃত্তির টাকা উত্তলন করে আত্মসাতের কাজ চালান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের নথি অনুযায়ী, চলতি বছরে দীপ সরদারের দুই কিস্তিতে ২৭শত টাকা এবং ইব্রাহিম শেখের ৩৩শত টাকা, মিলিয়ে মোট ৬ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আয়া মারুফা বেগমের সাবেক স্বামী পলাশ গাজী অভিযোগ করেন, “আমার সাবেক স্ত্রী প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নিজে আত্মসাৎ করার জন্য আমার ও শ্যালকের নগদ নাম্বার ব্যবহার করেছেন।”

আয়া মারুফা বেগম দাবি করেন, “শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করার সময় স্বামী ও ভাইয়ের নগদ নাম্বার ব্যবহার করেছি, কারণ সেসময় শিক্ষার্থীর অভিভাবক নগদ নাম্বার দিতে পারেননি। টাকা আসলে আমরা উত্তলন করেছিলাম। প্রধান শিক্ষক কিছু জানতেন না।”

দীপ সরদারের মা জোছনা সরদার বলেন, “আমার ছেলের নামে আসা উপবৃত্তির টাকা আমার জানা ছাড়া উত্তলন করা হয়েছে। অর্থের অভাবে আমার ছেলে লেখাপড়া বন্ধের শিকার হয়েছে, অথচ স্কুলের কেউ সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে।”

প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, “আয়া মারুফা বেগম শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আমার কোনো জ্ঞান নেই। এতে আমি কোনোভাবে জড়িত নই।”

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রতিবেদক- মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা, খুলনা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...