বিজ্ঞাপন
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের উপকূলের কাছাকাছি উপসাগর থেকে ওই তেলবাহী জাহাজ জব্দ করা হয়েছে। এর এক দিন আগে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছিল যে, ইরানের উপকূলে বাণিজ্যিক ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে।
আইআরজিসির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় বিচারিক কর্তৃপক্ষ ‘তালারা’ নামের ট্যাংকারের কার্গো জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। পরে আইআরজিসির নৌবাহিনীর একটি শাখা ওই ট্যাংকারের গতিবিধি নজরদারির পর জব্দ কার্য সম্পন্ন করে।’’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ট্যাংকারটি অনুমোদনবিহীন পণ্য বহন করায় আইন লঙ্ঘন করেছে। প্রায় ৩০ হাজার টন পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য বহনকারী ট্যাংকারটি সিঙ্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল।’’
সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রি জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান থেকে যাত্রা শুরু করে হরমুজ প্রণালী হয়ে দক্ষিণের দিকে যাচ্ছিল ট্যাংকারটি। ওই এলাকায় তিনটি ছোট নৌকা ট্যাংকারটির কাছে আসে এবং ‘হঠাৎ পথ পরিবর্তনে’ বাধ্য করে।
এর আগে, মার্কিন নৌবাহিনী বলেছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ট্যাংকার ও জাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাধাহীন চলাচল করে।
তবে হরমুজ প্রণালীতে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। গত বছর সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েল হামলার অভিযোগ তুলে রেভল্যুশনারি গার্ড হরমুজ প্রণালী থেকে একটি কনটেইনার জাহাজ জব্দ করেছিল। ওই সময় তেহরান জানিয়েছিল, জব্দকৃত বাণিজ্যিক জাহাজটির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...