অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন হাবিব।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের টাংকি রাস্তার মাথার নিরাপদ মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুর নাম আবু সায়েদ (৪), তিনি চানন্দী ইউনিয়নের থানারহাট এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, বিকেলে শিশুর ডান পায়ে টিউমার দেখা গেলে তাঁরা আবু সায়েদকে নিরাপদ মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পল্লী চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন হাবিব শিশুর পায়ের টিউমার অপারেশনের জন্য ২০টি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এতে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। পরে সন্ধ্যায় শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে শিশুর পরিবারের অভিযোগ, তারা যখন মৃতদেহ নিয়ে পুনরায় মেডিকেল সেন্টারে যান, তখন ইসমাইল হোসেন হাবিব তাদেরকে দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি মিটমাট করার প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে উপস্থিত লোকজনের সামনে লিখিত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, হাবিব ও তার সহযোগীরা ফার্মেসি দোকানের সাথে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টার পরিচালনা করছেন। এতে গ্রামের অসহায় মানুষগুলো নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন হাবিবের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং পরে ফোন বন্ধ করে দেন।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার মরিয়ম সিমি জানান, মৃত শিশুর পরিবার এখনও লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...