বিজ্ঞাপন
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিস্তৃত এই জালিয়াতি কেন্দ্রগুলো বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চীনের তদবিরের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে জান্তা সরকার সীমান্তবর্তী জালিয়াতি কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম 'দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার' বলেছে, ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর শওয়ে কোক্কোতে জুয়া ও জালিয়াতির কেন্দ্রের ওপর অভিযান চালিয়ে মায়ানমারে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ১,৫৯০ বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, অভিযানে ২,৮৯৩টি কম্পিউটার, ২১,৭৫০টি মোবাইল ফোন, ১০১টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট রিসিভার, ২১টি রাউটার এবং অনলাইন জালিয়াতি ও জুয়া কার্যক্রমে ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক শিল্প-সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
গত মাসে এএফপির একটি তদন্তে স্ক্যাম কম্পাউন্ডে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার তথ্য মিলেছে। এর ভিত্তিতে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের সন্দেহভাজন স্ক্যাম সেন্টারগুলোর আশেপাশে ২,৫০০টিরও বেশি স্টারলিংক ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমার জানিয়েছে, শনিবার (২২ নভেম্বর) শওয়ে কোক্কোতে অনলাইন জালিয়াতি এবং জুয়া খেলার অভিযোগে ২২৩ জনকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০০ জন চীনা নাগরিক।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ধরনের জালিয়াতি কেন্দ্রগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব এশিয়ায় জালিয়াতির শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত প্রতারণা করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...