ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
এমএলএস কনফারেন্স কাপের সেমিফাইনালে আবারও জাদু ছড়িয়ে ইন্টার মায়ামিকে ফাইনালের দুয়ারে দাঁড় করালেন লিওনেল মেসি। সিনসিনাটির মাঠে মায়ামি ৪–০ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে, আর চারটি গোলেই সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একটি গোল করেছেন নিজে, আর বাকি তিনটিতে দিয়েছেন সহায়তা—দুটি করেছেন তাদেও আলেন্দে ও একটি মাতেও সিলভেত্তি। এই জয়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন আরও জোরালো হলো মায়ামির, যেখানে পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউ ইয়র্ক সিটি।
ওহিওতে ম্যাচের ১৯ মিনিটেই মেসির গোল করে এগিয়ে যায় মায়ামি। প্রথমার্ধে আর গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দলটি। ৫৭ মিনিটে মেসির পাস থেকে সিলভেত্তি করেন দ্বিতীয় গোল। এরপর ৬২ ও ৭৪ মিনিটে মেসির নিখুঁত সহায়তায় আলেন্দে জোড়া গোল করে বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন। এ দিয়ে মেসির ক্যারিয়ার–অ্যাসিস্ট সংখ্যা দাঁড়াল ৪০৪, আর গোল ৮৯৬। সব মিলিয়ে মোট ১৩০০ গোলে জড়িত থাকলেন তিনি—বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক।
পুরো ম্যাচজুড়ে মেসির পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। আক্রমণ সাজানো, সুযোগ তৈরি, নিখুঁত পাস—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন প্রভাবশালী। ৮টি সুযোগ তৈরি করেছেন, যার চারটি ছিল বড় সুযোগ। নিয়েছেন ৩টি শট, করেছেন দুটি সফল ড্রিবল, জিতেছেন সব ট্যাকেল। ফাইনাল থার্ডে তাঁর ৭টি পাস, সঙ্গে শতভাগ নিখুঁত ক্রস ও লং বল প্রমাণ করেছে মাঠে তাঁর আধিপত্য। পুরো ম্যাচে তাঁর ৪১টি পাস ছিল শতভাগ সফল।
ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “কঠিন মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দল যেভাবে খেলেছে, আমি গর্বিত।” মেসিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি যোগ করেন, “শুধু লিও নয়, এই পুরো দলকেই কোচিং করা আমার সৌভাগ্য। আমরা জানি মেসি কী করতে পারে—প্রতি সপ্তাহেই সে তা প্রমাণ করে। আজও সে বল ছাড়াই দারুণ পরিশ্রম করেছে, আর বল পায়ে তো সে কী করতে পারে, তা আগেই জানা।”
মেসির এমন পারফরম্যান্সে মায়ামি এখন আরও দৃঢ়ভাবে তাকিয়ে আছে এমএলএস কাপের ফাইনালের দিকে, যেখানে আবারও জ্বলে উঠতে পারে আর্জেন্টাইন জাদুকরের পা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...