ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৩০ মে) চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দক্ষিণ জেলা জামায়াত আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, “জামায়াত চায় সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করতে। শহীদ আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের পরিচালিত মন্ত্রণালয়গুলো এতটাই দুর্নীতিমুক্ত ছিল যে, সেই সময়কার ফ্যাসিবাদী সরকারও তা অস্বীকার করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তা ব্যাহত হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন। এরপর একের পর এক সরকার দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে দেশের সম্পদ লুট করে এমপিরা, এমনকি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরাও পলায়ন করেছেন—এমন নজির পৃথিবীর কোথাও নেই।”
ডা. তাহেরের দাবি, জনগণ এখন আবার জামায়াতের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। “আমরা যদি নৈতিকতা ও ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনায় অঙ্গীকারবদ্ধ হই, তবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে,” বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, যেমন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান চৌধুরী।
জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ শিক্ষাশিবিরে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নুরুল্লাহ, ড. হেলাল উদ্দীন মুহাম্মদ নোমান, মুহাম্মদ জাকারিয়া, মাওলানা জহিরুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।