Logo Logo
রাজনীতি

নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য এক মাস সময় দেবে বিএনপি


Splash Image

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের যে অবস্থান নেওয়া হয়েছে, সেটি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারকে এক মাস সময় দিয়েছে বিএনপি।


বিজ্ঞাপন


দলটির শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি। তবে সরকার অবস্থানে অনড় থাকলে, জুলাই থেকেই রাজপথে কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে দলটি।

দলটির নীতিনির্ধারক নেতাদের মতে, জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের প্রশ্নে রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। এর আগ পর্যন্ত দলটি অপেক্ষা করতে চায়। ঈদুল আজহার কারণে জুন মাসটিতে বড় কোনো কর্মসূচি নেই বলেই জানিয়েছেন নেতারা। কিন্তু জুলাই থেকে পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যেতে পারে বলেই তাদের ধারণা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, "গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আমরা চাই সরকার বিবেচনাবোধ দেখাক এবং দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করুক।"

এর মধ্যে ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ, ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারায় এবং শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। সেই বর্ষপূর্তিতে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো নতুন কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিএনপির অপর এক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের বর্ষপূর্তিতে আমরা কর্মসূচি দেব। কারণ, গণ-অভ্যুত্থানের মূল নেতৃত্বে ছিল বিএনপি ও তার মিত্ররা।" তিনি আরও জানান, জুলাই মাসেও নির্বাচন ইস্যুতে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে।

সম্প্রতি বিএনপির ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলো চার বিভাগীয় শহরে সেমিনার ও সমাবেশ করে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছে। নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই পর্যায়ের কর্মসূচি শেষ হয়েছে।

অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক ফোরামে বলেন, নির্বাচন জুনের মধ্যেই হবে। তাঁর মতে, দেশে কেবল একটি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, যুগপৎ আন্দোলনের সব শরিক ও সমমনা দলই ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, “বিএনপি ডিসেম্বরের নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকবে। অন্যদিকে ইউনূস নির্বাচন পিছিয়ে সংস্কারের সুযোগ নিতে চাইছেন। এই দ্বন্দ্বই রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও উন্মোচিত করবে।”

এখন প্রশ্ন হলো—এই সময়ের মধ্যে সরকার তার অবস্থান বদলাবে কি না। রাজনৈতিক মহলে ধারণা, আগামী জুলাই-আগস্ট হবে ২০২৫ সালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সময়কাল। এই সময়েই হয়তো নির্ধারিত হবে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা