বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, "ক্ষমতার লোভে আপনারা বেহুঁশ হয়ে গিয়েছেন। এই বেহুঁশ অবস্থা থেকে হুঁশে ফেরার জন্য এখনো সময় আছে—আমরা আপনাদের সাবধান করছি।"
শনিবার (৩১ মে) রাতে আয়োজিত এ কর্মশালায় তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই—এমন বক্তব্য রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলার সামিল। তার ভাষায়, “এ ধরনের গুণ্ডামি-মাস্তানি, হুমকি-ধমকির রাজনীতি আর চলবে না। তরুণ প্রজন্ম এসব মানবে না।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশে এখন যে পরিবর্তনের দাবিতে আলোচনা হচ্ছে, তা আসলে একটি মৌলিক সংস্কারের সূচনা। তিনি আরও বলেন, “সংস্কারপ্রক্রিয়া বাংলাদেশে হবে, বিচার বাংলাদেশেই হবে। এরপর দেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। যাদের এই বিষয়টি পরিষ্কার নয়, তারা জনগণের কাছে যান, তাদের মনের কথা বুঝুন।”
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নেতাকর্মীরা উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় বক্তারা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, তরুণদের প্রত্যাশা এবং রাজনীতিতে শুদ্ধাচারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যে এও প্রতিফলিত হয় যে, বাংলাদেশে সহিংস ও হুমকির রাজনীতি এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়। দেশ এখন একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রবেশ করছে, যেখানে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও জনগণের মতামতই চূড়ান্ত ভূমিকা রাখবে।
গত কয়েক মাসে বিএনপি বিভিন্ন সময় নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মসূচি দিয়ে আলোচনায় এসেছে। এনসিপির মতো নবীন রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, এই উত্তেজনাকর পরিবেশ গণতন্ত্রের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।