প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাণীতে তিনি বলেন, নারীশিক্ষা ও ক্ষমতায়নের জন্য রোকেয়ার অবদান বাঙালি জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ৯ ডিসেম্বর দেশে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হচ্ছে—এটি তার জন্য আনন্দের। তিনি বলেন, “নারীমুক্তি ও মানবাধিকার নিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া। রক্ষণশীল সমাজে নারীশিক্ষা বিস্তারে তার সাহসী ভূমিকা আজও অনুপ্রেরণা।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর কঠোর সামাজিক বাস্তবতায় পিছিয়ে থাকা নারীদের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি ছিল শিক্ষা। এই উপলব্ধি থেকেই বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তারে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। তার আদর্শকে সামনে রেখে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে রয়েছে— গ্রামীণ অসচ্ছল নারীদের জন্য ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি, দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের আর্থিক সহায়তা, শহর এলাকায় স্বল্প আয়ের কর্মজীবী মায়েদের সহায়তা প্রদান, নারীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, প্রান্তিক নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়তা, কর্মজীবী নারী হোস্টেল পরিচালনা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমন্বিত সেবা জোরদার এবং ২৪ ঘণ্টার টোল–ফ্রি হটলাইন ১০৯ ইত্যাদি।
তিনি বলেন, এসব কার্যক্রম নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণ করে নারী অধিকার ও উন্নয়নে অবদানের জন্য যেসব নারীরা এবার বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন, তাদের প্রতি অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...