বিজ্ঞাপন
ওয়াংখেড়ের দর্শকদের জন্য দিনটি ছিল একেবারেই ‘সুপার সানডে’। ক্রিকেট না ফুটবল—কোনটি বেশি জনপ্রিয়—এমন চিরচেনা বিতর্ক মিলিয়ে গেল, যখন দুই খেলাই তাদের সর্বকালের বড় আইকনকে একসঙ্গে পেল। এক্সে (সাবেক টুইটার) শচীন লিখেছেন, ‘বলতেই হবে, আজকের দিনটা ছিল ১০/১০ লিও মেসি’। এদিন মেসিকে ১০ নম্বর লেখা টিম ইন্ডিয়ার জার্সি উপহার দেন শচীন—যে সংখ্যাটি মেসির জার্সিরও প্রতীক।
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের বহু স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম—২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ কিংবা বিরাট কোহলির রেকর্ডভাঙা ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি—সবই এই ভেন্যুতে। এটি শচীনেরও ঘরের মাঠ।
সেলিব্রেটি ফুটবল ম্যাচ শেষে আবারও ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায় ওয়াংখেড়ে। মঞ্চে উপস্থিত হন লিওনেল মেসি, তার সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পল। কিছুক্ষণ পর গ্যালারি থেকে ভেসে আসে ‘শচীন, শচীন’ ধ্বনি। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে ডি পল ও সুয়ারেজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাসিমুখে মেসিকে স্বাগত জানান শচীন। এরপর তিনি নিজের স্বাক্ষরিত ভারতের ক্রিকেট দলের জার্সি মেসির হাতে তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীসহ মেসি, ডি পল, সুয়ারেজ ও শচীন একসঙ্গে ছবি তোলেন। জবাবে মেসিও শচীনকে একটি বিশ্বকাপ বল উপহার দেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শচীন বলেন, ‘আমি এখানে কিছু অবিশ্বাস্য মুহূর্ত কাটিয়েছি। মুম্বাই স্বপ্নের শহর, আর এই ভেন্যুতে বহু স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আপনাদের সমর্থন ছাড়া ২০১১ সালে (ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ে) সেই সোনালি মুহূর্তগুলো দেখা সম্ভব হতো না। মেসি, সুয়ারেজ ও ডি পলকে এখানে পাওয়া মুম্বাই ও ভারতের জন্য একটি সোনালি মুহূর্ত। লিওর কথা বলতে গেলে এ প্ল্যাটফর্মও যথেষ্ট নয়—তিনি সবকিছুই অর্জন করেছেন। তার নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি আমাদের মুগ্ধ করে, আর তার নম্রতার জন্যই তিনি এত ভালোবাসা পান। আমাদের সবার পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি ভারতীয় ফুটবলও সেই উচ্চতায় পৌঁছাবে, যেটা আমরা সবাই আকাঙ্ক্ষা করি।’
বক্তব্য শেষ হতেই গ্যালারি জুড়ে আবারও দুই তারকার নামে ওঠে গর্জন—শচীন আর মেসি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...