ছবি: যুবলীগ নেতা
বিজ্ঞাপন
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ইতোমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ইছা মিয়া তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার (৩১ মে) রাতে সাধেরখলা এলাকার রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনে স্থানীয়রা। পরে তাকে দোকান ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সে চুরির বিষয়টি স্বীকার করে এবং চুরি হওয়া কিছু মালামাল বের করে দেয়।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো—ইছা মিয়া শুধুমাত্র দোকান নয়, এলাকায় একাধিক বাড়ি ও মসজিদেও চুরি করেছেন বলে জানায় স্থানীয়রা। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ ছিল।
ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য রোপন মিয়া জানান, “অনেক অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়রা তাকে ধরে। সে চুরি করেছে বলে স্বীকার করে এবং কিছু মালও বের করে দেয়। পরে আমাদের উপস্থিতিতে লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী আমতইল গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম ফেসবুকে লেখেন, “ইছা মিয়া ভয়ংকর চোর। এমন কোনো মসজিদ নেই যেখানে সে চুরি করেনি। আমার বাড়ি থেকেও টাকা ও গয়না চুরি করেছে।”
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, “চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে নিজে শাস্তি দেওয়া আইনবিরোধী। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”