ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এসেছে এক বড় সুযোগ। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের অধীনে ৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ‘সিনিয়র অফিসার (সাধারণ)’ পদে প্রিলিমিনারি (MCQ) পরীক্ষার সময়সূচি ও কেন্দ্রতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আসন সংখ্যা ৯৭৪ হলেও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন রেকর্ডসংখ্যক ১,২৮,৪৪০ জন প্রার্থী।
এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষাটি হবে ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নির্ধারিত ৪৪টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
২০২২ সালের শূন্যপদ ভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে জমা পড়া আবেদন থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুযোগ রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রবেশপত্র ছাড়া কোনোভাবেই কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
প্রার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা:
পরীক্ষা শুরুর অন্তত এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে, কারণ প্রবেশ ও নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে।
পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পার হলে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমনকি কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না।
পরীক্ষার সময় কোনো বই, কাগজ, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট কার্ড, ডিজিটাল ঘড়ি বা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষাকক্ষে এসব পাওয়া গেলে প্রার্থীকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রবেশপত্রে কিছু লিখলে সেটিও অসদুপায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
কান খোলা রাখতে হবে যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ সহজ হয়।
পরীক্ষার্থীরা রোল নম্বর ও কেন্দ্রতালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিতে পারবেন।
এই নিয়োগ পরীক্ষাটি বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংকে একটি মর্যাদাপূর্ণ চাকরি অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যারা এতে অংশ নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি স্বপ্নপূরণের সুযোগ।