বিজ্ঞাপন
দুপুরে নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সড়কে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী স্থানীয়রা জানান, জোবায়ের সোনাপুর মহব্বতপুর তাজবীদুল কুরআন সোবহানিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। গত ৩০ এপ্রিল অসুস্থ বলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থেকে পরিবারের কাছে ফোন আসে। পরে সদর হাসপাতালে গিয়ে তারা দেখতে পান জোবায়ের মৃত অবস্থায়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সে আত্মহত্যা করেছে।
কিন্তু নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম সোহেল দাবি করেন, তার সন্তান আত্মহত্যা করতে পারে না। মৃত্যুর আগে মাদরাসায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে জুবায়ের। তার মাথা ন্যাড়া করা হয়েছে এবং টেবিলের নিচে কান ধরিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ তুলেছেন।
বিক্ষোভের কারণে সোনাপুর-সাহেবের হাট সড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করা হলেও মামলা নেয়নি। দুই মাস অতিবাহিত হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টও পরিবারকে দেয়া হয়নি।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে, যেখানে ফাঁসিতে মৃত্যুর কথা উল্লেখ আছে। তবে তদন্ত শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়রা দ্রুত এবং ন্যায়সঙ্গত বিচার দাবি করেছেন।
-নোয়াখালী প্রতিনিধি, গিয়াস রনি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...