ভোরের বাণী
ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
পুরো মৌসুমটি যেন দুই ভাগে ভাগ হয়ে আছে হামজা চৌধুরীর জন্য। লেস্টার সিটির হয়ে মৌসুমের শুরুটা ছিল বেশ কঠিন। ক্লাবটির শুরুর একাদশে জায়গা করে নিতে নাজেহাল হতে হয়েছে এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডারকে। তবে মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগে এসে নিজেকে ফিরে পান তিনি, হয়ে ওঠেন দুর্দান্ত এবং কার্যকর।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর হামজা ধারে যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে। আর সেখানে যেন ফিরে আসে পুরনো সেই ক্ষুরধার হামজা চৌধুরী। কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডারের অধীনে মিডফিল্ডে কিংবা কখনো রাইটব্যাকে—যেখানেই খেলানো হোক না কেন, নিজের সেরাটা দিতে কোনো কার্পণ্য রাখেননি তিনি। ব্লেডসদের লাল-সাদা জার্সিতে মৌসুমের শেষভাগে তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।
এই পারফরম্যান্সেরই স্বীকৃতি হিসেবে এবার জায়গা করে নিয়েছেন স্কাই স্পোর্টসের সাংবাদিক ডেভ ট্রিহান এবং ব্রিটিশ-দক্ষিণ এশীয় ফুটবলারদের স্কাউট জোহাইব রশিদের নির্বাচিত বর্ষসেরা দক্ষিণ এশীয় একাদশে। ইউরোপের বিভিন্ন স্তরে খেলা দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেই প্রতিবছর এই একাদশ নির্বাচন করেন তাঁরা।
এই একাদশে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন হামজা। চলতি মৌসুমে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে তার ধারাবাহিক ও প্রভাবশালী উপস্থিতিই তাকে এনে দিয়েছে এই সম্মান।
প্রতিযোগিতামূলক এই একাদশে রয়েছে নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতিনিধিত্ব। নারী ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন নেপালি বংশোদ্ভূত রাইটব্যাক আসমিতা অ্যালি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার মিলি চন্দ্রানা এবং স্ট্রাইকার সিমরান ঝামাত।
পুরো স্কোয়াডে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হামজা চৌধুরী শুধু দলের প্রতিনিধিত্বই করছেন না, বরং মাঠের পারফরম্যান্স এবং প্রভাবিত করার ক্ষমতার দিক থেকেও ছিলেন সবার উপরে। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে সাজানো এই একাদশে হামজার সঙ্গে মিডফিল্ডে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মিলি চন্দ্রানা এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তরুণ মিডফিল্ডার জিদান ইকবাল।
এই স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য গর্বের, একই সঙ্গে প্রবাসী খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করার জন্যও একটি বড় বার্তা। হামজা চৌধুরীর এই সাফল্য দেখিয়ে দিলো, কঠোর পরিশ্রম আর নিবেদন থাকলে প্রবাসের মাটিতেও ছড়িয়ে দেওয়া যায় লাল-সবুজের গৌরব।
