ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪ দলীয় জোটের নিবন্ধন বাতিল এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের কাছে লিখিত চিঠি জমা দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে এবং এর সঙ্গে জড়িত জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের অন্যান্য সদস্যদেরও সেই শাসন টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন—২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮—আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে পরিচালনা করেছে, যেখানে সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংগঠনটি দাবি করে, আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীদের বিরুদ্ধে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা (ক্রসফায়ার), দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, "আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটভুক্ত সব রাজনৈতিক দল দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি বহাল রাখা দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।" সেই প্রেক্ষাপটেই সংগঠনটি নির্বাচন কমিশনের কাছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল করার এবং জাপার চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি একটি উচ্চতর রাজনৈতিক চাপের কৌশল হতে পারে, যার মাধ্যমে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এবং বর্তমান সরকারের শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
উল্লেখ্য, গণঅধিকার পরিষদ একাধিকবার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগ তুলেছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
