ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
আজ (সোমবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে তারা সরকার থেকে গেজেট নোটিফিকেশন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
সিইসি বলেন, “আমরাও এ নিয়ে কনসার্ন। বাট উই আর ওয়েটিং ফর দ্য গেজেট নোটিফিকেশন টু কাম।” তিনি আরও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন, “যখন দেখবেন আকাশে সূর্য উঠে গেছে, তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে, অপেক্ষা করেন।” এই বক্তব্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
গত শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত নেয়—আওয়ামী লীগ এবং তাদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। এর মধ্যে সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগের কোনো প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। এই নির্দেশনার বাস্তবায়নের জন্য একটি গেজেট প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনো নির্বাচন কমিশনের হাতে পৌঁছেনি।
সিইসি স্পষ্ট করে জানান, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সুনির্দিষ্ট সরকারি প্রজ্ঞাপন ছাড়া আমরা আইনগতভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে চায়, তবে তাকে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধন করতে হয়। আর সেই নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তও একমাত্র নির্বাচন কমিশনই নিতে পারে। ফলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন ভবিষ্যতে ঝুঁকির মুখে পড়বে কি না, তা নির্ভর করছে সরকারি গেজেট প্রকাশের ওপর।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উদ্বেগ ও জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া অবস্থান, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের অপেক্ষার নীতিতে আগামী নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে।