ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) গভীর রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “তিনজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” তবে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
ঘটনার বিষয়ে রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালী মন্দিরের পাশে তিন যুবক সাম্যর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই সংঘর্ষে হামলাকারীরাও আহত হন এবং স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পুলিশের অভিযানে সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়। আরেকজন পালিয়ে যায়, যার সন্ধানে অভিযান চলছে।
নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। একইসাথে তিনি ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ওয়াসী তামী জানান, সাম্যর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও চত্বর ছিল উত্তপ্ত পরিবেশে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত বিরোধ বা পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে রাজনৈতিক সম্পর্ক ও অন্যান্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ হত্যাকাণ্ড ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।