ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেখা দেওয়া গণঅভ্যুত্থান যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়েছে, তার একটি সুসংবদ্ধ রূপ দিতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এমনটাই জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বুধবার সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক রীয়াজ। তিনি বলেন, “ঐ গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের ক্ষোভ ও প্রত্যাশা একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়েছে। কমিশনের কাজ হচ্ছে সেই চেতনার ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদের রূপরেখা তৈরি করা, যাতে সব রাজনৈতিক দল একমত হতে পারে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্রের দিকে যেতে চাই যেখানে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। রাষ্ট্র হবে এমন, যেখানে সমানাধিকার থাকবে, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে, এবং নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।”
আলোচনায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন রাজেকুজ্জামান রতন, নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নান্টু, শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব এবং রাহাত আহম্মেদ।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশমালা নিয়েই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনা হবে। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “এই দায়িত্ব শুধু আমাদের নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে ঐক্যের পথে এগোতে হবে।”