ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযোগের তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও রেকর্ডপত্র চেয়ে গত ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
দুদক বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম হাওলাদারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে মনিরুল ইসলামের রেজিস্ট্রার থাকাকালীন সময়ের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সরবরাহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
দুদকের পক্ষ থেকে যেসব নথি চাওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো:
১. ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের যাবতীয় কাগজপত্র। এর মধ্যে রয়েছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, প্রার্থীদের তালিকা (সামারি সিট), সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশ ও প্রতিবেদন এবং প্রার্থীদের দাখিল করা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি।
২. রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কার্যকালে সেকশন অফিসার, কম্পিউটার অপারেটর, এমএলএসএস ও গার্ডেনার পদে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল প্রকার রেকর্ডপত্র।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মহোদয়ের গাড়ি ব্যবহারের রেজিস্টার বা লগ বই।
৪. ২০১৮ সালে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।
দুদকের চিঠিতে এই সকল রেকর্ডপত্র গত ১২ মে, ২০২৫ তারিখের মধ্যে তাদের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘ দিন করা আন্দোলনের মুখে গত ৩ই মে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল কে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রতিবেদক - মোঃআশিকুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।