বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কলাপাড়ায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে টানা তিনদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও বুধবার রাত থেকে একটানা ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী পাঁচদিনও এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে আমন ধানের ক্ষেত। মাঠঘাট ডুবে যাওয়ায় পচে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন আমন চাষিরা। পাশাপাশি মৌসুমি সবজি চাষের ক্ষেতও পানির নিচে চলে গেছে।
নীলগঞ্জের সবজি চাষি আ. রহিম বলেন, “আগের বৃষ্টিতে কিছু ক্ষতি হয়েছিল, কিন্তু এই তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে মাঠঘাট সব ডুবে গেছে। এভাবে আরও দু’একদিন বৃষ্টি থাকলে আমরা কৃষকরা এ বছর একেবারেই শেষ হয়ে যাব।”
অবিরাম বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরা নিয়েও জেলেদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় মালিক সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম জানান, “সমুদ্রে থাকা বেশিরভাগ মাছ ধরার ট্রলার মহিপুর ও শিব্বারিয়া পোতাশ্রয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। কিছু ট্রলার সাগরে থাকলেও তারা উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে।”
টানা বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। ভিজে যাওয়া রাস্তাঘাট ও কর্মস্থলে পানি জমে যাওয়ায় অনেকেই স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সামনের কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই কৃষক, জেলে ও শ্রমজীবী মানুষদেরকে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...