বিজ্ঞাপন
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুকুরিয়া, হামিরদী, মাধবপুর ও নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এলাকায় স্থানীয় জনগণ মহাসড়ক দুটি অবরোধ করেন। ফলে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। রোদ থেকে বাঁচতে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নেন।
অবরোধ চলাকালে এলাকাবাসী জানান, ভাঙ্গাকে বিভক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই মানা হবে না। প্রয়োজনে যতদিন দরকার মহাসড়ক অচল করে রাখবেন তারা।
আগে ফরিদপুর-৪ আসনটি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুর-২ আসন গঠিত ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে দেশের ৪৬টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়। ওই গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুর জেলার দুটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ফলে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে নিয়ে নগরকান্দা ও সালথা যুক্ত ফরিদপুর-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “আমরা অনেকটা অসহায়। এলাকাবাসীর দাবি পূরণ না হলে তারা রাস্তা ছাড়বে না বলেছে। এখন এত মানুষকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?”
এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা জানান, “আন্দোলনকারীদের দাবি জাতীয় পর্যায়ের বিষয়। এখানে স্থানীয় প্রশাসনের করার কিছু নেই। এলাকাবাসীর দেওয়া স্মারকলিপি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।”
গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথমবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছিলেন এলাকাবাসী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করা হলেও কার্যকর সমাধান না পাওয়ায় আন্দোলন ফের জোরদার হয়।
এ প্রেক্ষিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব ওই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপি নেতা মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান দুলালসহ পাঁচজনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় অবস্থানেই রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “প্রকাশিত সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে আইন অনুযায়ী কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বিক্ষোভ-আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...