ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ উঠেছে, নিয়মনীতি উপেক্ষা করে আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে শিক্ষক বদলির ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যার ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, শেখর রঞ্জন ভক্ত কোটালিপাড়ায় যোগদানের পরপরই ৮৭ নম্বর বাহির শিমূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিলা রানী সাহাকে বিধিবহির্ভূতভাবে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে দেন। উল্লেখ্য, বদলিটি ছিল "প্রতিস্থাপন সাপেক্ষ", অর্থাৎ শিলার স্থানে একজন নতুন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার শর্তে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিলার স্থানে এখনো পর্যন্ত কোনো শিক্ষক যোগদান করেননি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, “আমাদের বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক ছিলেন। শিলা রানী বদলি হয়ে যাওয়ার পর শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাকে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি।”
এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হিমাংশু বিশ্বাসও নিশ্চিত করেন যে, প্রতিস্থাপন হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, এই অনিয়ম শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন ভক্ত ও হিমাংশু বিশ্বাসের যৌথ মদদে ঘটেছে।
স্থানীয় শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে একজন শিক্ষককে অন্য উপজেলায় বদলি করায় একটি বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাঁরা এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে, প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।
প্রতিবেদক-মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী, গোপালগঞ্জ।