ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন। তবে এর সঙ্গে যুক্ত করেন এক কড়া শর্ত—৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পর্যবেক্ষণের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও বৃহৎ পরিসরে ফিরে আসবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা তাকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে কাকরাইলে অবস্থান নেন। সারারাত সেখানে কাটিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল করে রাখেন কাকরাইল মোড়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা 'নির্বাচিত সরকার চাই', 'শপথ ছাড়া যাব না', 'ইশরাক ভাই মেয়র হলো'—এই ধরনের বিভিন্ন স্লোগানে পরিবেশ গরম করে তুলেছেন। তারা একযোগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন এবং এই দাবি আদায়ের জন্য পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা আসবে বলে জানান।
২০১৯ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। যদিও ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হন, তবে বিএনপির অভিযোগ ছিল—ভোটে কারচুপি ও প্রশাসনিক প্রভাবের। সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত ও আদালতের রায় ঘিরে ইশরাকপন্থীদের দাবি—তিনি প্রকৃত নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং তার শপথ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিক নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটি কোনো একক দাবি নয়, বরং নির্বাচিত সরকার গঠনের সার্বিক দাবির অংশ। দলটি মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে থাকা উপদেষ্টারা বিতর্কিতভাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং এর মাধ্যমে জনগণের রায়কে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
ইশরাক হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, “আমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করছি, কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকারকে। দাবি না মানলে আবারও রাজপথে ফিরব, এবার আরও বৃহৎ পরিসরে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তি বা দলের দাবি নয়—বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তা যা আগামী নির্বাচনী রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
