বিজ্ঞাপন
সৈকতের জিরো পয়েন্টে আগতরা উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছেন। কেউ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কাটছেন, কেউ বালু মাটিতে খেলায় মগ্ন, আবার কেউ বেঞ্চে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। অনেক পর্যটক ওয়াটারবাইক, মোটরবাইক, ইজিবাইক ও ঘোড়ায় চড়ে বিভিন্ন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার সব দর্শনীয় স্থান—কাউয়ার চর, লাল কাঁকড়ার চর, চর গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, শুটকি পল্লী, লেম্বুর বন ও তিন নদীর মোহনা। ব্যবসা-বাণিজ্যেও এসেছে চাঙ্গাভাব, বেড়েছে বিক্রি। হোটেল-মোটেলগুলোতে শতভাগ বুকিং থাকায় অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।
ঝিনুক দোকানদার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা আর বর্ষার কারণে পর্যটক ছিল না, এতে আমাদের বড় ক্ষতি হয়েছে। তবে দুর্গাপূজার ছুটিতে ভালো পর্যটক এসেছে, কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।”
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, “বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটায় কয়েকবার এসেছি, তবে পরিবার-পরিজন নিয়ে এটাই প্রথম। এ সময়েই দেখা মেলে সাগরের আসল রূপ। তবে পর্যটন স্পটগুলোর রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। এগুলো সংস্কার না হলে ঘোরা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।”
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, “পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বক্ষণ প্রস্তুত আছি।”
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসিন সাদেক বলেন, “দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর পর্যটক ভালোই এসেছে। এভাবে পর্যটক আসতে থাকলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পোষাবে। পৌর প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...