বিজ্ঞাপন
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী মিরের হাট সংলগ্ন সোনালী মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লিফলেট বিতরণ শেষে গোলাম আজম সৈকতের গাড়িবহর তার বাড়ির দিকে ফিরছিল। এসময় একই পথে চলমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের গাড়িবহর অতিক্রম করার সময় জামালের অনুসারীরা সৈকতের গাড়িবহরে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা বহরের সর্বশেষ একটি হায়েস মাইক্রোবাস আটকিয়ে ড্রাইভার রফিকের ওপর হামলা চালায় এবং গাড়িটি ভাঙচুর করে। এতে শ্রমিকদল নেতা সোহেল, বিএনপি নেতা ইউনুস মেম্বার, ইলিয়াস মোল্লা, রিপন বিশ্বাসসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর–কাঁঠালিয়া) আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী গোলাম আজম সৈকত ভোরের বাণীকে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে আমাদের গাড়িবহরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বিএনপি আন্দোলনের পথে আছে—এটাই তাদের সহ্য হচ্ছে না। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জামাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “গোলাম আজম সৈকতের গাড়িবহরে হামলায় আমি বা আমার কোনো কর্মী এমন ঘটনায় জড়িত নই। আমরা দলীয় কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরছিলাম। কেউ আমাদের নাম ব্যবহার করে ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...