ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারচেঞ্জ এলাকার বৈদ্যুতিক তার ও কন্ট্রোল বোর্ডের কিছু অংশ চুরি হয়েছে। এছাড়া কন্ট্রোল প্যানেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুড়ে যাওয়ায় নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও বাতি জ্বালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা এই এলাকা রাতে একেবারে জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে।
নগরকান্দা উপজেলা থেকে ইন্টারচেঞ্জে ঘুরতে আসা কলেজছাত্র মাহমুদ হাসান বলেন, "আগে এখানে সন্ধ্যার পর আলোয় ঝলমল করত। এখন অন্ধকার, দাঁড়িয়ে থাকতে ভয় লাগে। এত সুন্দর জায়গায় এত বড় সমস্যা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।"
পৌর এলাকার নওপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মজিবর মিয়া জানান, "রাতের বেলায় ভাঙ্গা গোলচত্বর থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাতি জ্বলে না। ফলে দুর্ঘটনা ও ছিনতাইয়ের ভয় নিয়ে চলতে হয়।"
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, "আলো না থাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা রাতের টহল আরও বাড়াচ্ছি।"
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ভাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, "আমাদের দিক থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে কন্ট্রোল বোর্ডের তার পুড়ে যাওয়া ও কিছু সরঞ্জাম চুরি হওয়ায় ইন্টারচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ নিতে পারছে না। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।"
ইন্টারচেঞ্জ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের নৈশপ্রহরী সিরাজ খান জানান, "এক মাস আট দিন আগে কন্ট্রোল সিস্টেমের একটি অংশ নষ্ট হয়েছে। এখন জেনারেটর চালিয়ে প্রতি রাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে কিছু বাতি জ্বালানো হয়।"
সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপবিভাগীয় কার্যালয়ের প্রকৌশলী এস এম হানিফ বলেন, "চুরি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরো সড়কবাতি ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। ইতোমধ্যে মেরামতের কাজ চলছে। সংস্কারের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খুব দ্রুতই আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারবো।"
দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন, দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে আবারও আগের মতো আলো ঝলমলে রূপে ফিরবে এই আধুনিক সড়কসংযোগের মুখটি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...