বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে ছাউনি টাঙিয়ে ভিতরে চারটি বুথ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একটি বুথ ছিল সংগঠন সম্পর্কিত তথ্য জানাতে, অন্য বুথগুলোতে রাখা হয় উপহার সামগ্রী, ‘অনুভূতি বক্স’ এবং মেহেদী পরানোর আয়োজন। উৎসবের মাধ্যমে সংগঠনটি নতুন সদস্য আহ্বান ও নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিমা খান বলেন, “ছাত্রীসংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এমন সুন্দর একটি উৎসবে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। সব মেয়েরা এসে মেহেদী পরছে, একে অপরকে মেহেদী লাগিয়ে দিচ্ছে—ব্যাপারটা খুবই উপভোগ্য। এর মাধ্যমে আমাদের মেয়েদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আশা করি, এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশকেও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।”
উৎসবের আয়োজক প্রতিনিধি সাইয়েদা তাফান্নুম সিদ্দিকা বলেন, “ইসলামী ছাত্রী সংস্থা ইবি শাখার দুই দিনব্যাপী মেহেদী উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ছাত্রীদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি। তারা খুবই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মূলত দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের ছাত্রীদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের চেষ্টা করেছি। এর মাধ্যমে পরিচিতি, সৌহার্দ্য এবং সুস্থ সংস্কৃতির ধারা অব্যাহত রাখতে চেয়েছি। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ চালিয়ে যাব।”
সংগঠনটির ইবি শাখা সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “মেহেদী উৎসবসহ আরও নানা আয়োজন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসংস্থার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে এমন আয়োজন সীমিত পর্যায়ে করতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট পরবর্তী সময়ে এসে আমরা নতুন করে ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...