ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ যাবতীয় মূল্যবান সামগ্রী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা তাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।
ঘটনার পরদিন সকালে দুর্গত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিতে এবং তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিতে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নানসহ অন্যান্য নেতারা প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন। এ সময় মুফতি হান্নান বলেন, “মানবিক বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামি দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামী সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকবে এবং এ ধরনের সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে আগুন লাগার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। এখনো আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
এই মানবিক উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, শুধু সরকার নয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোরও এ ধরনের দুর্যোগে এগিয়ে আসা উচিত। জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দও আশ্বাস দিয়েছেন, ভবিষ্যতে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা জনগণের পাশে থাকবেন।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শুধু সম্পদের ক্ষতি নয়, বরং কয়েকটি পরিবারের জীবনে চরম অনিশ্চয়তা ও দুঃখের ছাপ ফেলে গেছে। তবে মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানোর এই মানবিক দৃষ্টান্ত নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
প্রতিবেদক-মশি উদ দৌলা রুবেল, ফেনী।