বিজ্ঞাপন
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা উপলক্ষে প্রতিবছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ১০টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হয়ে বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে পূর্ণিমা তিথি। এই তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষরা পাপ মোচন ও পুণ্য লাভের আশায় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পুণ্যস্নান করবেন।
কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রম প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ইতোমধ্যে কারিগরদের রঙতুলির ছোঁয়ায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ১৮ জোড়া যুগল প্রতিমা। নতুন সাজে সেজেছে মন্দির প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকা।
কুয়াকাটা রাসপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মণ্ডল জানান, “এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থযাত্রীর পদচারণায় মুখরিত হবে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নামকীর্তন, ভাগবত পাঠ, আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুধবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই সাগরে নামবে ভক্তদের ঢল।”
তিনি আরও জানান, “রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে অনেক ভক্ত ভিন্ন ভিন্ন মানতের পূজা সম্পাদন করবেন। নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষও মিলিত হবেন এই উৎসবে।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শতবর্ষীয় এই ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে আগত পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।”
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক মো. ইয়াসিন সাদেক বলেন, “পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস উৎসবের দর্শনার্থী ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাউছার হামিদ বলেন, “রাস উৎসব কুয়াকাটার ঐতিহ্যের অংশ। এবারে হাজারো মানুষের সমাগম হবে বলে আমরা ধারণা করছি। জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।”
কুয়াকাটা এখন রঙে-আলোয় ভরপুর এক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে—যেখানে পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে বঙ্গোপসাগরের বেলাভূমি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...