ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শতাধিক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষকদের নিয়ে টিকটক ভিডিও করতে বাধ্য করেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে থাকেন এবং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। এছাড়া, ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ‘কমন রুম’ দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পড়ে থাকলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি।
দশম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা জানায়, “আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি, ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত রুম ব্যবহার করতে পারি না। বিষয়টি বারবার বললেও প্রধান শিক্ষক গুরুত্ব দেননি।” একাধিক ছাত্র জানায়, “টিকটক করতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেন।”
প্রধান শিক্ষক শুব্রত কুমার চাকি বলেন, “কিছুদিন আগে বই না থাকায় শিক্ষকদের নিয়ে টিকটক করা হয়েছিল। এখন বন্ধ করে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষককে আগেই নির্ধারিত সময়ের আগে স্কুল ছুটি দেওয়ার অভিযোগে শোকজ করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান।
প্রতিবেদক-মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া।