ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকালেই সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত হাতিয়ার সঙ্গে নৌপথে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
স্থানীয়রা জানায়, লঘুচাপের প্রভাবে নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিভিন্ন চরাঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে চরইশ্বর, নলচিরা, ঢালচর, সুখচর, চরঘাসিয়া ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। বাড়িঘর ও সড়কপথে পানি উঠায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবলু জানান, “ভোর রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস চলছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। অন্তত ১৫ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। নতুন এলাকা প্লাবিত হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।”
অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জাতীয় উদ্যানের হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীও জোয়ারের পানিতে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। নিঝুমদ্বীপের কয়েকটি প্রধান সড়ক পুরোপুরি জলমগ্ন, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ইতোমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভূমিধস ও জলাবদ্ধতার আশঙ্কাও রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “সাগর উত্তাল থাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”
উপকূলীয় মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জরুরি সহায়তা ও দ্রুত পুনরুদ্ধার কার্যক্রম না নিলে এই দুর্যোগ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্রতিবেদক - গিয়াস রনি, নোয়াখালী।