বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “আতঙ্ক নয়, প্রস্তুতিই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।” সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জানান, চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুযায়ী জেলায় ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা হলে জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি ঢলের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষ করে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর তীরে অবস্থিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে বাঁধগুলোর মেরামত ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্বল বাঁধগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে সেখানে কাজ শুরু হয়েছে।
সভায় আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, জেনারেটর, ব্যাটারি, রেডিও ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিরাপদে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শুকনো খাবার মজুদ, মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার ব্যবস্থা, কন্ট্রোল রুম চালু এবং জরুরি সাড়া দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জরুরি তহবিল থেকে তাৎক্ষণিক সহায়তা আনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় আলাদা করে জরুরি তহবিল গঠন করে রাখা হচ্ছে যাতে প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া যায়।
সভাটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফেনী ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর আরেফীন শাকিল, সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতির এই সমন্বিত উদ্যোগকে সবাই স্বাগত জানিয়ে বলেন, সঠিক প্রস্তুতি থাকলে যেকোনো দুর্যোগ কার্যকরভাবে মোকাবেলা সম্ভব।
প্রতিবেদক-মশি উদ দৌলা রুবেল, ফেনী।