বিজ্ঞাপন
রোববার (১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় এক দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে তিনি পার্কের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান ও জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোঃ আল-আমিন।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক নিজ হাতে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন, যা প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতার এক অনন্য নিদর্শন।
এসময় জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জানান, শহরের কর্মব্যস্ত পরিবেশে নাগরিকদের মানসিক প্রশান্তি ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বিবেচনায় এই পার্ক নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের হাঁটার উপযুক্ত জায়গার অভাব এবং শিশুদের জন্য বিনোদনের সীমিত সুযোগ বিবেচনায় প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকারি খাসজমি উদ্ধার করে সেখানে পরিবেশবান্ধব এবং সব বয়সী মানুষের জন্য উপযোগী একটি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। পার্কে থাকবে হাঁটার ট্র্যাক, বসার স্থান, শিশুদের রাইডস এবং গোপালগঞ্জে উৎপাদিত জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃত দুটো পণ্যের ‘ড্যামিও’ মডেল ঘর।
ডিসি পার্ক নির্মাণে গোপালগঞ্জ পৌরসভাসহ একাধিক সরকারি দপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শহরের অধিবাসীরা একটিবারেই প্রকৃতির কাছাকাছি এসে প্রশান্তি নিতে পারবেন, বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) বিশ্বজিৎ কুমার পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদারসহ জেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।