বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, তাড়াশ কলেজের পক্ষ থেকে তাড়াশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ না করায় আলোচনা-সমালোচনা দেখা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গভর্নিং বডির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলাম তোতা অধ্যক্ষ ও উপধ্যাক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে গভর্নিং বডির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন বিষয়ে কোনো কিছুই জানাননি। পরে জানতে পারি কলেজের নৈশপ্রহরী লুৎফর রহমান টেলিকে দিয়ে একটি ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন।।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে মহান বিজয় দিবসে এমন দায়সারা আচরণ কলেজ সংশ্লিষ্টদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। তাদের দায়িত্বের অবহেলার কারণে অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে উপযুক্ত জবাব না পাওয়া পর্যন্ত কলেজ তালাবদ্ধ থাকবে।
কলেজের অধ্যক্ষ মো: মনিরুজ্জামান মনি বলেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। কলেজের সার্বিক দায়িত্ব দেয়া আছে উপাধ্যাক্ষ মীর হোসনে আরাকে। সংগত কারণে এ দায়দায়িত্ব তার।
উপাধ্যাক্ষ মীর হোসনে আরা বলেন, কলেজে এখন শীতকালীন ছুটি চলছে। আমি কলেজে প্রোগ্রাম করেছি। কিন্তু লোক না থাকায় তাড়াশ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নৈশপ্রহরীকে দিয়ে পুষ্পস্তবক পাঠিয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে বিতর্ক হবে বুঝতে পারিনি।
এ তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...