Logo Logo

গোপালগঞ্জে ১০ লাখ টাকা সহ সড়ক বিভাগের পিওন আটক


Splash Image

উৎকোচ দিতে আসার অভিযোগ


বিজ্ঞাপন


গোপালগঞ্জে ১০ লাখ টাকা ও শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিওন সহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় একটি প্রইভেটকার জব্দ করা হয়।

নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে শহরের পুলিশ লাইন্স মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়।

১৭ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া গ্রুপে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠনো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানাগেছে।

গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীকে শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের একটি কাজের দরপত্রের অনুমোদনের জন্য উৎকোচ দিতে পিওন এ টাকা এনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আটককৃতরা হলেন, শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিওন এবং মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর খসরু গ্রামের মৃত কালু মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন (৬০) ও প্রাইভেট কার চালক শরীয়তপুর জেলার পালং থানার দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব ব্যাপারীর ছেলে মো: মনির হোসেন (৪০)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ শহরের পুলিশ লাইন্স মোড়ে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে ১৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ- ০৭-৬৮৪১) থামিয়ে তল্লাশী করা হয়। এ সময় প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে ২টি খামে মোট ১০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রইভেট কারের আরোহী ও শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিওন মোশারফ হোসেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে তিনি এ টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনকে (সরকরি কর্মকর্তা) দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের এতে সন্দেহ হয়। তারা উল্লেখিত প্রইভেটকার ও টাকা জব্দ করেন । পরে পিওন ও ড্রইভারকে আটক করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলামান রয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সড়ক ‍বিভাগের দায়িত্বশীল একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের একটি কাজের দরপত্রের অনুমোদনের জন্য ওই টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীকে দেওয়ার জন্য আনা হয়েছিল।টাকার খামের উপর ‘সার্কেল’ অর্থাৎ গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিকরুল ইসলামের দপ্তর উল্রেখ করা ছিল । আর সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেন গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের একজন কর্মকর্তা। এখন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম ও তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী জিকরুল ইসলাম কৌশলে এ ঘটনার দায় নিরপরাধী সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে । এতে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।

এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলামকে একাধিক বার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেন নি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য শরীয়তপুর সড়ক বিভাগ গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেল ও জোনের অধীনে নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...