বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার রামনগর, ইটাখোলা, কচুকাটা, খোকশাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা জমি থেকে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে মাঠপর্যায়ে আলুর দাম নিয়ে চাষিদের মুখে হতাশার সুর।
সদর উপজেলার রামনগর এলাকার কৃষক আব্দুল মিয়া দৈনিক ভোরের বাণী পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, বর্তমানে বাজারে আলু কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারেরা নিচ্ছেন মাত্র ৮ থেকে ৯ টাকা দরে। এই দামে আলু বিক্রি করে কোনো লাভ তো হচ্ছেই না, বরং ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
একই এলাকার আরেক কৃষক নুরে আলম জানান, তিনি বর্গা নেওয়া জমিতে আলু চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ওই জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ আলু উৎপাদনের আশা থাকলেও বর্তমানে বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলে এক বিঘা জমিতেই বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে তাকে।
শুধু সদর উপজেলা নয়, জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও একই চিত্র। কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই গ্রামের কৃষক মিলন কবির বলেন, ধান, চাল ও গমের মতো আলুর দামও সরকার নির্ধারণ করে দিলে কৃষকেরা এ ধরনের লোকসান থেকে রক্ষা পেতেন।
অন্যদিকে আলুর পাইকারি ক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের কারণে দাম কমছে। পাইকারি ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন জানান, বর্তমানে পুরোদমে আলু ওঠা শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, তাই দাম কমে গেছে।
আরেক ব্যবসায়ী রুবেল রানা বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে তিনি কৃষকদের কাছ থেকে আলু কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে কিনেছিলেন। এখন সেই আলুই কিনতে হচ্ছে ৮ থেকে ৯ টাকা দরে।
নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আতিক আহমেদ বলেন, আলুর ব্যাপক দরপতনে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি ভালো দাম পাওয়ার জন্য আলু সংরক্ষণ এবং জাতভেদে চাহিদা অনুযায়ী চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...