Logo Logo

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে রাখাইনদের মানববন্ধন


Splash Image

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির প্ররোচনায় রাখাইন আদিবাসীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা, প্রাণনাশের হুমকি ও দীর্ঘদিনের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাখাইন সম্প্রদায়।


বিজ্ঞাপন


রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়কের আলীপুর থ্রী-পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আয়োজক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, রাখাইন সমাজকল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের জনগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, লতাচাপলী মৌজার জেএল নং–৩৪-এর ৪২ একর বিরোধীয় জমি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসে বসবাসরত এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে রাখাইন জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা, হুমকি ও হয়রানি চালিয়ে আসছে।

এর ফলে কালাচানপাড়া রাখাইন পল্লীর বাসিন্দারা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার কারণে ইতোমধ্যে অনেক নিরপরাধ মানুষ কারাবরণ করেছেন, বহু পরিবার বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। জমির প্রকৃত ক্রেতাদেরও নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ভুক্তভোগী ইউনুচ মাষ্টার বলেন, প্রবাসে অবস্থানরত কালাচানপাড়ার নিবাসী মৃত মংথুইয়ের কন্যা মিসেস লাচাউ (৮০) ২০০০ সালে তার স্বামী মি. অংশাচিং (৮৩)-কে বৈধভাবে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করেন। যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত ছিল। ওই ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় বৈধভাবে জমি বিক্রি ও হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। সেই পাওয়ার মূলে আমরা জমি ক্রয় করে এখন হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমার প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

কুয়াকাটার কেরাণীপাড়ার মাতবর এমং তালুকদার বলেন, দীর্ঘ সময় পর ২০২২ সালে দেশে ফিরে এসে মিসেস লাচাউ তার পূর্বে দেওয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অস্বীকার করে জমির বৈধ ক্রেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন। আমাদের কবলা দলিল, রেকর্ড থাকা সত্বেও মামলায় হয়রানি হচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসে থাকা তার স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে এসব হুমকি অব্যাহত রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

মানববন্ধনে আরও দাবি করা হয়, কিছু ভূমিগ্রাসী ও স্বার্থান্বেষী মহল এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়ের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। এতে স্থানীয় রাখাইন সমাজে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সরেজমিন তদন্ত, মিথ্যা মামলার অবসান এবং রাখাইন জনগোষ্ঠীর জানমাল ও ভূমির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত অংশাচিং'র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি দেশের বাহিরে থাকার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মানববন্ধন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...