বিজ্ঞাপন
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার সেনানিবাসে জানাজা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মিনি স্টেডিয়ামে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহটি নেওয়া হয় তার নিজ গ্রাম মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গীতে।
গ্রামে পৌঁছালে শামীম রেজার মরদেহ একনজর দেখার সুযোগ পান পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী। আবেগঘন পরিবেশে গ্রামের মানুষ তাদের এই বীর সন্তানকে শেষ বিদায় জানান।
এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী সৈনিক শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ শামীম রেজা ছিলেন তাদেরই একজন।
শহীদ শামীম রেজার বাবা আলমগীর ফকির। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দেশের সম্মান রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রতিবেদক- স্বপন বিশ্বাস, রাজবাড়ী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...