পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডন-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
কারাগারে বন্দি থাকায় ইমরান খানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রবেশের সুযোগ না থাকলেও তার আইনি দলের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি এই বিশেষ বার্তা পাঠান। এক্স-এ (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত তার আইনজীবীর সাথে কথোপকথনের বিবরণ অনুযায়ী, ইমরান খান বলেন, "আমি খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিকে রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছি। সমগ্র জাতিকে এখন নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য জেগে উঠতে হবে।"
আদালতের এই রায়কে ‘বিচারের ন্যায্যতা বিঘ্নের প্রতীক’ উল্লেখ করে পিটিআই প্রধান বলেন, গত তিন বছরের মতো এই ভিত্তিহীন সিদ্ধান্তও তার কাছে অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। তিনি অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট বিচারক কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই এবং আইনি বাধ্যবাধকতা উপেক্ষা করে তাড়াহুড়ো করে এই রায় দিয়েছেন। ইমরান খান জানান, তার আইনি দল এই রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করছে।
সংবিধান ও আইনের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ‘ইনসাফ আইনজীবী ফোরাম’সহ সকল আইনজীবীদের রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান ইমরান খান। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, "ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ছাড়া দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।"
এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ইমরান খানের দল পিটিআই এই রায়কে 'অসাংবিধানিক, অবৈধ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক নিকৃষ্ট উদাহরণ' বলে অভিহিত করেছে। দলটির দাবি, বর্তমান ‘ভয়ঙ্কর শাসক চক্র’কে সাময়িক স্বস্তি দিতে এবং ইমরান খানের কারাবাসের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতেই এই ফরমায়েশি সাজা দেওয়া হয়েছে।
পিটিআই মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইমরান খান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সালমান সফদারের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন—তিনি কারও কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন না।
বর্তমানে ইমরান খান তার অবস্থানে অনড় থেকে আইনি ও রাজনৈতিক উভয় পন্থায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...