বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ১৭ ডিসেম্বর চুরির সন্দেহে প্রথমে তাকে আটক করা হয়। পরে বাংলাদেশি হিসেবে অভিহিত করে তাকে মব সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে পেটাতে থাকে। ঘটনার সময় তার কাছ থেকে কোনো চুরির জিনিসপত্র পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রামনারায়ণকে বারবার “বাংলাদেশি” বলে চিৎকার করা হচ্ছে এবং তিনি যেখানে থাকেন সেই গ্রামের নাম জানতে চাওয়া হলেও তাকে পূর্ণ উত্তর দেয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পিটুনি চালাচ্ছিল।
ময়নাতদন্তে জানা যায়, রামনারায়ণের দেহে ৮০টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন ছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার মাথায় গুরুতর জখম ছিল এবং হামলার সময় বুকের ভেতর থেকে রক্ত মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল।
পুলিশ ইতোমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা সবাই আত্তাপাল্লাম গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম হল— মুরলি, প্রসাদ, অনু, বিপীন এবং আনন্দন। তাদের ১৮ ডিসেম্বর পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, রামনারায়ণের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপরাধের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। নিহতের দুই ছেলে আছে; বয়স যথাক্রমে ৮ এবং ১০ বছর।
নিহতের চাচাত ভাই শশীকান্ত বলেছেন, “রামনারায়ণ কাজ করতে কেরালায় গিয়েছিল। বাংলাদেশি ভেবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি গরীব মানুষ ছিলেন। তার পরিবারকে সাহায্য করার কেউ নেই। খুবই ছোট দুটি বাচ্চা তার। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব যেন তার পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...