ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক চলাকালীন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, যেখানে তিনি তুলে ধরেন সংলাপের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার খসড়া।
প্রেস সচিব জানান, বৈঠকের শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, যেখানে তিনি ‘জুলাই চার্টার’ দ্রুত গৃহীত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পেয়েছি, সেই মোতাবেক কাজ চলছে।"
এই বৈঠকে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন। প্রেস সচিব বলেন, “আমার জানামতে এই সপ্তাহে আরেকটি বৈঠক রয়েছে। এবার হয়তো একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা একসঙ্গে বসবেন, যাতে সম্মিলিতভাবে মতবিনিময় সহজ হয়। এর আগে প্রতিটি দলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।”
এই সংলাপের মাধ্যমে যে সকল ইস্যুতে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, সেগুলো নিয়ে ‘ইনটেনসিভ আলোচনা’ চলবে বলেও জানান তিনি। এতে করে ‘জাতীয় ঐকমত্য’ অর্জনের পথ আরও প্রশস্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘জুলাই চার্টার’ নামে পরিচিত রাজনৈতিক রোডম্যাপটি মূলত একটি প্রস্তাবিত কর্মপন্থা, যার লক্ষ্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং সবার অংশগ্রহণে একটি ভবিষ্যৎ কাঠামো তৈরি করা। এটি বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মতে, এই সংলাপ ও চার্টার গ্রহণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "এই ঐকমত্য ও অংশগ্রহণই ভবিষ্যতের বাংলাদেশের ভিত্তি নির্মাণে সহায়ক হবে।"