শেখ মুজিব সহ জাতীয় ৪ নেতা
বিজ্ঞাপন
এদের এখন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ এই অধ্যাদেশ জারি করে। এতে আরও চার শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
এই চার শ্রেণি হলেন—
১) বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা পেশাজীবী ও জনমত গঠনে অবদান রাখা ব্যক্তিরা
২) প্রবাসী সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সহকারী, ও কূটনীতিক
৩) স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-কলাকুশলী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সাংবাদিকবৃন্দ
৪) স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন’-এ এদের সবাইকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার ফলে এ স্বীকৃতি বাতিল হলো এবং পরিবর্তিত সংজ্ঞায় তাদের শুধু ‘সহযোগী’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভা উপদেষ্টা পরিষদ ১৫ মে আইন মন্ত্রণালয়কে পর্যালোচনার নির্দেশ দেয়, যার প্রেক্ষিতে এই অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হয়।
অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়— যাঁরা ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত সরাসরি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্মুখ সমরে লড়াই করেছেন, কেবল তাঁদেরকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক ও বেসামরিক সকল সংশ্লিষ্ট বাহিনী, বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ফিল্ড হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরাও।
একই সঙ্গে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ শব্দটিরও নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধই মুক্তিযুদ্ধ।