বিজ্ঞাপন
তার অভিযোগ—প্রশ্ন করলে ইউনূস কোনো জবাব না দিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় নেন, যা একজন দায়িত্বশীল নেতৃত্বের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, "ডিসেম্বরের আগে কেবল একটি দল নির্বাচন চায়—এমন মন্তব্য কীভাবে ইউনূসের মতো একজন বিশ্লেষক করতে পারেন?" মান্না অভিযোগ করেন, অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যে অস্পষ্টতা এবং তথ্য বিভ্রাট রয়েছে, যা নির্বাচন-সংক্রান্ত চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও তীব্র করছে।
তিনি বলেন, "প্রায় ২৯টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়, অথচ তিনি বলছেন একটি মাত্র দল চায়। এমন ভুল কি তাঁর মতো শিক্ষিত মানুষের করা সাজে?"
অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক নেতার বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, এসব বৈঠকে গণতন্ত্র বা নির্বাচন বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। "তিনি শুধু বলেন, রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলে আশাবাদী হই, কিন্তু সেই আশার বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখি না।"
সভায় তিনি আরও বলেন, "জামায়াতে ইসলামীর মতো দল ফেব্রুয়ারিতে ভোট চায়, আর বড় কোনো দল জুনে নির্বাচন চায় না। তাহলে এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় ভোট আয়োজনের তাগিদ কেন?"
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশি পরামর্শদাতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বক্তব্যে ব্যবধান রয়েছে, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এই দ্বৈত অবস্থান গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “রাজনীতি শুধু শক্তি দিয়ে হয় না, এর জন্য দরকার সঠিক দিকনির্দেশনা ও জবাবদিহি। অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”
এ সময় তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। "ভারত একটি পতিত স্বৈরাচারকে মদদ দিচ্ছে, যার পরিণতিতে সীমান্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে।" ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালীন ইতিহাস টেনে এনে তিনি বলেন, “আজও তেমনই একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ, বিজেপির আন্দালিভ রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফওজুল হাকিম এবং গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন নুরুল হক নুর এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ফারুক হাসান।
