বিজ্ঞাপন
পরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আর তীব্র যানজটে নাকাল ঘরমুখো মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট। এলেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে আশেকপুর বাইপাস হয়ে সেতু পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে আছে শত শত যানবাহন। সকাল থেকেই এই যানজটের সূত্রপাত বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
সড়কে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি বাসের ছাদ, ট্রাক, পিকআপভ্যান এমনকি লেগুনায় করেও গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন অনেকে। নিরাপদ ভ্রমণের সুযোগ না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে বাড়ি ফিরছেন তারা। অনেকেই অভিযোগ করছেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের। একেকজন যাত্রীকে দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ বা তার বেশি।
গাজীপুর থেকে আসা পোশাক শ্রমিক জাহানারা বেগম বলেন, “গাজীপুর থেকে রাবনা বাইপাস আসতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা। যানবাহনের চাপ এত বেশি যে এক জায়গায় থেমে থাকলেই ৩০-৪০ মিনিট কেটে যাচ্ছে।” সিরাজগঞ্জগামী এই যাত্রী জানান, ভাড়াও দিতে হয়েছে দ্বিগুণ।
একই অভিজ্ঞতা বাইপাইল থেকে ট্রাকে করে বগুড়াগামী আলমগীরের। তার ভাষায়, “৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, এখনো পৌঁছাইনি। মাত্র আশেকপুর বাইপাস এলাম। ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়েছি, কিন্তু ভোগান্তির শেষ নেই।”
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ জানান, “টোল প্লাজায় গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজট তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।”