Logo Logo

ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ঢল


Splash Image

পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের বিরল ছুটি যেন হয়ে উঠেছে আনন্দ আর অবকাশের অনন্য এক উৎসব। সেই উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, যেখানে হাজারো পর্যটক মিলিত হয়েছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে এক টুকরো স্বর্গ খুঁজে নিতে।


বিজ্ঞাপন


ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই কুয়াকাটার সাগরপাড়ে নামে দর্শনার্থীদের ঢল। পরিবার, বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে ছুটে আসা মানুষগুলোর মুখে শুধুই হাসি আর চোখেমুখে স্বপ্নঘেরা প্রশান্তি। সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে গেছে মানুষের আনন্দ, যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর সহাবস্থান।

বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা হাজারো পর্যটকে মুখর কুয়াকাটার প্রতিটি কোণা। কেউ ঝাউবাগানে হেঁটে বেড়াচ্ছেন, কেউ শুঁটকি পল্লির গন্ধ আর গল্পে মগ্ন, কেউবা হারিয়ে যাচ্ছেন সূর্যাস্তের রক্তিম আলোয়। শিশুরা মেতে উঠেছে ঘোড়ার গাড়িতে, আর বড়রা উপভোগ করছেন সৈকতের ইজিবাইক রাইড।

ভ্রমণপ্রিয় রাকিব রায়হান জানালেন, “সকালে বন্ধুদের নিয়ে এসেছি। সাগরের ঢেউয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, হাসি-আনন্দে সময়টা যেন স্বপ্নের মতো কেটেছে।”

বরিশালের রিফাত-রিংকি দম্পতির কাছে কুয়াকাটা মানেই শান্তি ও স্মৃতির সমুদ্র। “সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা কখনো পুরনো লাগে না,” বললেন তারা।

এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের এই আগমন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ও প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে। হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, “পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। আশা করছি, আগামীকাল থেকে আরও বেশি ভিড় হবে।”

তবে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, “সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা, নৌ ও ডিবি পুলিশও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে।”

সত্যিই, কুয়াকাটায় ঈদের ছুটি যেন হয়ে উঠেছে প্রকৃতির মাঝে এক আনন্দময় আত্মসমর্পণ।

প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা, পটুয়াখালী।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...